যশোরে টানা দুইদিন ধরে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। শনিবার (২৯ মার্চ) বিকেল ৪টার দিকে বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান বিমান ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণাধীন আবহাওয়া অফিস জানায়, এদিন তাপমাত্রা ছিল ৩৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তার আগের দিন শুক্রবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তীব্র গরমের কারণে জনজীবনে নেমে এসেছে চরম অস্বস্তি। প্রচণ্ড গরমে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না। যেসব মানুষ বাইরে বের হচ্ছেন, তারা ছাতা ব্যবহার করছেন কিংবা রিকশায় চলাচল করলেও সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম।
ঈদের বাজার করতে আসা ক্রেতারা প্রচণ্ড দাবদাহে ভোগান্তিতে পড়েছেন। ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, গরমের কারণে কেনাকাটার পরিমাণ কমে গেছে। কালেক্টরেট মসজিদ মার্কেটের ব্যবসায়ী আলতাপ হোসেন বলেন, "তাপপ্রবাহের কারণে ক্রেতাদের সংখ্যা কমে গেছে, যা ব্যবসায় প্রভাব ফেলছে।"
রিকশাচালক ও শ্রমজীবী মানুষরাও পড়েছেন বিপাকে। রিকশাচালক তবিবর বলেন, "মনে হচ্ছে আগুন উড়ছে। রিকশা চালাতে কষ্ট হচ্ছে, কিন্তু জীবিকার জন্য বের হতেই হচ্ছে।"
কৃষিকাজে নিয়োজিত শ্রমিকরাও কাজের ফাঁকে ছায়ায় বিশ্রাম নিচ্ছেন। শহরের তরুণরা গরম থেকে স্বস্তি পেতে ছুটছেন গ্রামাঞ্চলের নলকূপগুলোতে গোসল করতে।
আবহাওয়া অফিস জানায়, এ তাপপ্রবাহ আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাধারণত এপ্রিল মাসে যশোরে তীব্র গরম দেখা দেয়, কিন্তু এবার মার্চেই তাপমাত্রা অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ৩০ জুন যশোরে ৪৩.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। এর আগে ১৯৭২ সালের ১৮ মে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৪৫.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় রাজশাহীতে।